সপ্তম ধাপে ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এটিই শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।ভোটের দিন সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এর আগে সারাদেশে ৬ ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই পর্বে প্রথম ধাপের ৩৬৯টি ইউপিতে এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৮ নবেম্বর তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৭ ইউপিতে ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপিতে, চলতি বছর ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে এবং ৬ষ্ঠ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২১৯ ইউপিতে।

এদিকে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও আগের ৫ ধাপের মতো আবারও নির্বাচনের দিন সহিংসতা হয় কি না এ নিয়ে আশঙ্কা করেছে বিভিন্ন মহল। সর্বশেষ ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয় ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেবে। সব ইউপিতে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স টিম এবং প্রতি ৩টি ইউপিতে ১টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে। আর প্রতিটি উপজেলায় র‌্যাবের ২টি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম, বিজিবির ২টি মোবাইল ফোর্স টিম ও ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম দায়িত্ব পালন করবে।

সপ্তম ধাপের ইউপি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে জানানো হয়, ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি নেই। তবে নির্বাচনী এলাকাধীন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার বা নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকছে।

তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাধীন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।

ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মনিটরিং সেলের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পরিচালিত হবে। এ সেলের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে-

১. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করা।
২. সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থা ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো।
৩. সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা।
৪. ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা।

বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারদের সহায়তা দেয়া। নির্বাচনকালে মনিংটরিংয়ে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।